টাইলস মিস্ত্রিকে কুপিয়ে হত্যা ঝিনাইদহে,ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার মান্দারতলা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে লুৎফর রহমান (৪০) নামের এক টাইলস মিস্ত্রিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

টাইলস মিস্ত্রিকে কুপিয়ে হত্যা ঝিনাইদহে
নিহত লুৎফর রহমান মান্দারতলা গ্রামের নায়েব মণ্ডলের ছেলে। তিনি ঢাকার শাহবাগ এলাকায় টাইলস মিস্ত্রির কাজ করতেন।
নিহতের স্ত্রী জানান, একটি বিয়ের বিষয়ে কথা বলতে সকালে লুৎফর রহমান নিজ বাড়ি থেকে জোড়াপুকুরিয়া এলাকায় আত্মীয় মিয়াজুল ইসলামের বাড়িতে যান। পরে বাড়ি ফেরার সময় মান্দারতলা ব্রিজ সংলগ্ন কাউসারের দোকানের সামনে পৌঁছালে ১৫-২০ জন তার ওপর হামলা করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে আনেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বলেন, ‘নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হয়তো ভোঁতা কোনো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। কারণ তার কিছু হাড়ও ভেঙে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।’

স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার জোড়াপুকুরিয়া গ্রাম ও আশপাশের এলাকায় দুটি পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। এর এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ কর্মী সাইফুল ইসলাম। ওপর পক্ষে রয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খবির উদ্দিন। আধিপত্য নিয়ে প্রায়ই দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ দ্বন্দ্বের জেরে গত ১ এপ্রিল রবিউল ইসলাম নামের জোড়াপুকুরিয়া এলাকার এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরেই লুৎফর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত লুৎফর খবির উদ্দিনের সমর্থক।
হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আজিফ বলেন, ওই গ্রামে রাজনৈতিক দুটি পক্ষ রয়েছে। তাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন:
১ thought on “টাইলস মিস্ত্রিকে কুপিয়ে হত্যা ঝিনাইদহে”