আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় ঝিনাইদহ জেলার বিখ্যাত খাবার।
ঝিনাইদহ জেলার বিখ্যাত খাবার:-
ঝিনাইদহ জেলার বিখ্যাত খাবার নলিন গুড়ের পায়েস, জীড়ান খেজুর রসের ক্ষীর ,খালিশপুরের চমচম, মাছের মাথা দিয়ে শুক্তো।

নলিন গুড়ের পায়েস
পায়েস একটি চাল-দুধ-চিনি সহযোগে প্রস্তুত খাবার যা ভারতীয় উপমহাদেশে খুবই জনপ্রিয়। ফুটন্ত তুলশীমালা চাল, ভাঙ্গা গমের সাথে ট্যাপিওকা, সেমাই, দুধ এবং চিনি মিশিয়ে তৈরি করা হয়। এটা স্বাদের জন্য এলাচ, কিশমিশ, জাফরান, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম বা কাজুবাদাম দেওয়া হয়। এটা সাধারণত খাবার সময় বা ডেজার্ট হিসাবে পরিবেশিত। কিছু অঞ্চলে এটি ফিরনি গিল ই ফিরদাউস বা ফেরেনি নামেও পরিচিত।
সংস্কৃত নাম क्षीर (ক্ষীর)/ पायसम् “পায়াসম”। হিন্দি, खीर khīr; পাঞ্জাবি, کھیر/ਖੀਰ; উড়িয়া, ଖିରି khiri; সিন্ধি, کھیر; উর্দু, کھیر; এবং নেপালি: खिर। পায়াসাম হিসেবে তামিল: பாயாசம், তেলুগু: పాయసం, মালায়ালম: പായസം), পায়েস হিসেবে কন্নড়: ಪಾಯಸ), বাংলা: পায়েস, সিলেটি: পায়েস), অসমীয়া: পায়স এবং কোঙ্কানি पायस।

সকল উৎসবে পায়েস প্রস্তুত করা হয়। খির শব্দটি উত্তর ভারতে ব্যবহার করা হয়। সম্ভবত সংস্কৃত শব্দ ক্ষীর থেকে এসেছে যার অর্থ দুধ। ক্ষীরের আরেকটি নাম পায়েস বা পায়স বাংলায় ব্যবহৃত হয়।তবে পায়স শব্দটি তেমন ব্যবহার হয় না যদিও মূল সংস্কৃত শব্দ পায়স(पायस) থেকে এসেছে যার ব্যুৎপত্তিগত অর্থ দুধ থেকে উৎপন্ন।
জীড়ান খেজুর রসের ক্ষীর
ক্ষীর বা মেওয়া বাংলার নিজস্ব মিষ্টি। ক্ষীর শুধু মিষ্টিই নয় এটি অন্যান্য মিষ্টির সহযোগী এবং প্রধান উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। উত্তরভারতে ক্ষীর নামটি পায়েস হিসাবে ব্যবহার করলেও বাংলায় ক্ষীর সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের ও ভিন্ন মিষ্টি।
ক্ষীর প্রস্তুত করার জন্য একমাত্র উপাদান হলো খাঁটি দুধ। খাঁটি দুধের তিন ভাগকে জ্বাল দিয়ে শুকিয়ে একভাগ করা হলে ক্ষীর তৈরী হয়। তবে দুধে অনেক সময় এরারুট, সুজি ও পানিফলের পালো এবং চিনি মিশিয়ে গাঢ় ও মিষ্টি করা হয়। তবে সেই ক্ষীরের স্বাদ নির্জলা খাঁটি দুধের মতন হয় না, গন্ধ, স্বাদ ও বর্ণে বিস্তর পার্থক্য থেকে যায়। তবে সমুদয় দুধ শুকিয়ে চার ভাগ থেকে এক ভাগ করলে ডেলা ক্ষীর না খোয়া ক্ষীর তৈরী হয়। এই খোয়া ক্ষীর নানা মিষ্টি প্রস্তুতিতে তৈরী করা হয়।

আরও পড়ূনঃ